কারো ঘুম ভাঙে একটু দেরিতে কেউ আবার
হাটাহাটির জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যায়!
.
ভোরের আলো ফুটে উঠতে না উঠতেই ফেরিওয়ালাদের হাঁক-ডাকে মুখর হয়ে ওঠে পাড়া-মহল্লা...অন্যান্য দিনের চেয়ে এই দিনটা একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ...!! কেননা আজ চাকরিজীবীরা বাসায় আছে.....
.
কর্তা-গিন্নী সবাই মিলে ফেরিওয়ালার কাছে থেকে তরকারি কেনার দৃশ্যটা আমার কাছে স্বর্গীয় মনে হয়...
যারা বাজারে যাবে তাদের হাতে গিন্নীরা বাজারের ব্যাগ আর ফর্দ ধরিয়ে দেয়..!!!এরপর দুপুরের খাওয়ার শুরু হবার আগ পর্যন্ত- শুধুই অলসতা আর নিজের মত করে থাকা,সম্ভবত শুক্রবারের সবচেয়ে সুন্দর সময় এটাই...!
.
যারা ঘুরতে বের হবে সারাদিনের জন্য তাঁরা "Already gone"...! আর যারা ঘরে থাকেন তাদের শুরু হয় টিভি রিমোটের উপর অত্যাচার,রান্নাঘর থেকে ভেসে আসতে থাকে খিচুড়ি, মাছভাজা অথবা বিশেষ কোনো রান্না যা এই দিনটার জন্য তুলে রাখা হয়...
.
সবচেয়ে ঝামেলায় থাকে কোচিং এ পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা, না ঘরকা না ঘাটকা...পুরো সকালটাই মাটি...! এরপর
আস্তে আস্তে দুপুরের রোদ শেষ হয়ে আসে।
.
দুপুরের খাওয়ার সময়টা রীতিমত উৎসবমুখর হয়ে ওঠে প্রতিটা বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত পরিবার...
.
"বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজ হলে গিয়ে মুভি দেখে না" এই ধারণাকে কাঁচকলা দেখিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্স বা যমুনা ব্লকবাস্টার এর সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায় আগে-ভাগেই...
.
বিকেলে জনসংখ্যার প্রচন্ড চাপ পড়ে হাতিরঝিল,রমনা পার্ক, নিউ-মার্কেট এবং অভিজাত শপিং মলগুলোতে...
সন্ধ্যাবেলাটা মুখরিত হয়ে উঠে সংসদ ভবন, বসুন্ধরা সিটি, আজিজ সুপার মার্কেট, টাউন হল, শ্যামলী মাঠ..
.
রাতের বেলা নগরীর অভিজাত এবং সাধারণ খাবারের দোকানগুলো গমগম করতে থাকে খাদ্যপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসে... অধিকাংশ ঘরের বাইরে বুফে বা সাধারণ সেট মেনু ডিনার করে থাকে বা বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজনদের বাসায় দাওয়াত থাকে...
.
এরপর ক্লান্ত দেহে ঘরে ফেরা আর আগামী সপ্তাহের #শুক্রবার এর অপেক্ষা..এভাবেই চলে জীবন.. চলছে!!
লেখাঃ আহমিদা জেবিন
No comments:
Post a Comment