Breaking

Monday, March 25, 2019

১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে :শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালীন ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে :শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি



তিনি বলেন, ‘এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। যেহেতু আমরা বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছি না, তাই এবার সব ধরনের কোচিং বন্ধ থাকবে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘নানা ধরনের কোচিং আছে। যেহেতু একই জায়গায় বিভিন্ন ধরনের কোচিং থাকে, অনেকে অসাধু উপায়ে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কোচিং করিয়ে থাকে। এরকম দেখা গেছে। তাই আমরা সব কোচিং বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এছাড়া পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে সকল পরীক্ষার্থীকে আবশ্যিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থী এর পর পরীক্ষা কেন্দ্রে আসলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নং ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবে।

কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফিচারফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বাইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীগণের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


ট্রেজারী/থানা হতে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীগণ কোন ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোন যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

উল্লেখ্য, এ বছর আটটি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। তার মধ্যে সাধারণ আটটি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ৭৮ হাজার ৪৫১ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ পরীক্ষার্থী রয়েছে। সারাদেশে মোট ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২ হাজার ৫৮০ কেন্দ্রে।



এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন
Join

No comments:

Post a Comment

close