Breaking

Friday, May 17, 2019

প্রকৃতি প্রত্যয় শিখে নিন প্রাইমারী নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আর ভুল হবে না এবার

প্রকৃতি প্রত্যয় শিখে নিন আর ভুল হবে না এবার

মূলশব্দ বা মৌলিক শব্দের সঙ্গে যে অতিরিক্ত শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। [যা ক্রিয়ামূল ও শব্দমূলের সাথে যুক্ত হয়ে নূতন পদ সৃষ্টি করে বা বাক্যস্থ শব্দের ভিতরে সম্পর্ক সৃষ্টিতে সহায়তা করে, এমন ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে প্রত্যয় বলা হয়। ইংরেজি suffix, postfix। ] অর্থাৎ, প্রাতিপদিক ও ধাতুর সঙ্গে যেই শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাদেরকেই প্রত্যয় বলে। উপরের উদাহরণে, লাজুক শব্দের প্রকৃতি ‘লাজ’-এর সঙ্গে প্রত্যয় ‘উক’ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে ‘লাজুক’ শব্দটি। এমনিভাবে-
প্রকৃতি + প্রত্যয় = প্রত্যয়সাধিত শব্দ
√বড় + আই = বড়াই
√ঘর + আমি = ঘরামি
√পড় + উয়া = পড়ুয়া
√নাচ + উনে = নাচুনে
√জিত + আ = জিতা
√চল্ (গমন করা) +ই =চলি
√অৎ (গমন করা) +ই =অতি (অধিক)

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত প্রত্যয়গুলোকে ভাষাগত প্রকৃতি অনুসারে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগগুলো হলো—
১. সংস্কৃত প্রত্যয় :
এই প্রত্যয়কে মোট পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এ গুলি হলো—
কৃৎপ্রত্যয় (Primary suffix)
তদ্ধিত প্রত্যয় (Secondary suffix)
স্ত্রী-প্রত্যয় (faminine suffix)
ধাত্ববয়ব (Parts of roots)
বিভক্তি (Inflection)
২. বাংলা প্রত্যয় :
দেশী প্রত্যয়কেই বলা হয়, বাংলা প্রত্যয়।
৩. বিদেশী প্রত্যয় :
সংস্কৃত ও বাংলা ব্যতীত অন্যান্য প্রত্যয়গুলো বিদেশী প্রত্যয় বলা হয়।

প্রকৃতি ও প্রত্যয়
(২য় পর্ব)
#কৃৎপ্রত্যয়
সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয়>বাংলা কৃৎপ্রত্যয়।
বাংলা ব্যকরণে পাঁচটি প্রত্যয় -এর একটি।
যে প্রত্যয় ক্রিয়ামূলের শেষে যুক্ত হয়ে নূতন শব্দ তৈরি করে, তাকে কৃৎপ্রত্যয় বলে। বিদ্যাসাগর প্রণীত ব্যাকরণ কৌমুদী -তে এর ইংরেজি সমার্থ শব্দ হিসাবে বলা হয়েছে-primary suffix। যেমন—
√চল্ (গমন করা) +ই =চলি
কৃৎপ্রত্যয়ের তালিকা
অ (অ)
অ (অঙ)
অ (অচ্)
অ (অণ্)
অ (অন্)
অ (অপ্)
অ (ক)
অ (কঞ্)
অ (খচ্)
অ (খল্)
অ (খশ্)
অ (ঘ)
অ (ঘঞ্)
অ (ট)
অ (টক্)
অ (টচ্)
অ (ড)
অ (ডট)
অ (ণ)
অ (শ)
অ (ষ)
অ (ষ্ণ)
অই
অক (কুন)
অক (ণ্বুল)
অঙ্গ (অঙ্গচ্)
অট্ (অটন)
অটি
অণ্ড (অণ্ডক)
অৎ (অতি)
অৎ (শতৃ)
অত (অতক)
অতি (অতিচ)
অতি (ডতি)
অত্র (অত্রন্)
অন
অন্ (অনট)
অন্ (ল্যুট)
অন (কনিন্)
অন (ক্যুন)
অন (যুচ্)
অন (ল্যু)
অনীয় (অনীয়রঃ)
অন্ত (ঋচ্)
অন্ত (ঝ)
অন্য
অভ (অভচ্)
অম
অম্ব (অম্বচ্)
অর্
অর (অরন্)
অরি
অরু
অল (অলচ্)
অল (কল)
অল (কলচ)
অলি (অলিচ)
অস্
অস্ (অসচ্)
অস (অসুন)

আতু
আন (আনক্)
আন (মান)
আর (আরন)
আলু (আলুচ)
ই (ই)
ই (ইচ্)
ই (ইন্)
ই (ইঞ্)
ই (কি)
ইৎ
ইত
ইন্
ইন্ (ইনচ্)
ইন (ইনি)
ইন্ (ঘিনুণ্)
ইন্ (ণিনি)
ইম (ইমচ)
ইর (ইরন)
ইর্ (কিরচ)
ইল (ইলচ)
ইষ্ (ইষচ্)
ইষ্ (টিষচ্)
ইষ্ণু (ইষ্ণুচ্)

ঈক (ঈকন)
ঈর (ঈরচ)
#তদ্ধিত প্রত্যয়
আক্ষরিক অর্থ -তাহার জন্য হিতকর। কিন্তু ব্যাকরণে এটি একটি প্রত্যয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এই কারণে, এর পূর্ণাঙ্গ নাম -তদ্ধিত প্রত্যয়।
বাংলা ব্যকরণে পাঁচটি প্রত্যয়ের একটি হলো তদ্ধিত প্রত্যয়। যে প্রত্যয় শব্দমূলের শেষে যুক্ত হয়ে নূতন শব্দ তৈরি করে, তাকে তদ্ধিত-প্রত্যয় বলে। বিদ্যাসাগর প্রণীত ব্যাকরণ কৌমুদী এর ইংরেজি সমার্থ শব্দ হিসাবে বলা হয়েছে-secondery suffix । বাংলা শব্দে ব্যবহৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো-
অ (অচ)
অ (অঞ্)
অ (অণ্)
অ (ডট্)
অক (বুঞ্)
অক্ (ষ্কন্)
অঠ (অঠন্)
অয় (অয়চ্)
অয় (কয়ন)

আৎ

ই (ইঞ্)
ইক (ঠক্)
ইক (ঠঞ্)
ইক (ঠন্)
ইষ্ঠ (ইষ্ঠন)
ইত (ইতচ্)
ইন্ (ইনি)

ইম [ডিমচ]
ইমন্ (ইমনিচ্)
ইয় (ঘ)
ঈন (খ)
ঈয় (ছ)
ঈয়স্ (ঈয়সুন্)


ক্ (কন্)
ক (কপ্)
ণিচ্
ত (তপ)
তঃ (তস্)
তা (তল্)
তীয়
ত্ব
দার
দারি
বৎ (বতুপ)
মৎ (মতুপ)
মন্দ
ময় (ময়ট্)
য (যক)
য (যৎ)
য (ষ্যঞ্)
ল (লচ্)
লব
ষ (ণ্য)
সাৎ
#প্রকৃতি
১. শব্দমূল বা শব্দের যে অংশকে আর ভাঙা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে। প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি মৌলিক শব্দ তথা প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি প্রাতিপদিক ও ধাতুই একেকটি প্রকৃতি। কিন্তু মৌলিক শব্দকে প্রকৃতি বলা যায় না। যখনই সেই শব্দের সঙ্গে বা অতিরিক্ত শব্দাংশ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তখনই কেবল নতুন সৃষ্ট শব্দটির মূল শব্দটিকে প্রকৃতি বলা যায়।
অর্থাৎ, প্রত্যয় সাধিত শব্দের মূলশব্দকে বলা হয় প্রকৃতি। কিন্তু শব্দটি থেকে প্রত্যয় সরিয়ে ফেললে, মূলশব্দটিকে তখন আর প্রকৃতি বলা যাবে না।
যেমন- লাজুক, বড়াই, ঘরামি, পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা শব্দগুলোর মূলশব্দ যথাক্রমে লাজ, বড়, ঘর, পড়, নাচ, জিত। এখানে, লাজুক, বড়াই, ঘরামি, পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা শব্দগুলো প্রত্যয়সাধিত (মূলশব্দের সঙ্গে অতিরিক্ত শব্দাংশ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।) আর এই শব্দগুলোর মূলশব্দ লাজ, বড়, ঘর, পড়, নাচ, জিত। অর্থাৎ লাজ, বড়, ঘর, পড়, নাচ, জিত- এগুলো লাজুক, বড়াই, ঘরামি, পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা শব্দগুলোর প্রকৃতি। কিন্তু আলাদাভাবে উল্লেখ করলে এগুলো আর প্রকৃতি নয়, এগুলো তখন স্রেফ কতোগুলো মৌলিক শব্দ।

এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন
Join

No comments:

Post a Comment

close