Breaking

Monday, March 23, 2020

করোনা ভাইরাস থেকে বেচেঁ থাকতে কিছু পরামর্শ || কি কি ঔষধ খেতে হবে? || Coronavirus Update

"করোনা ভাইরাস চেনার সহজ উপায়"
তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা ঘরোয়া এবটি পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন।
যেটি প্রতিদিন সকালে উঠেই কয়েক সেকেন্ডেই পরিক্ষা করে নিশ্চিন্ত হতে পারেন।
পরিক্ষাঃপরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে,সেটিকে ১০সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে আটকে রাখুন।
যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনার কোনো কাশি,বুকে ব্যাথা বা চাপ অনুভব না হয়।অর্থাৎ কোনো প্রকার অস্বস্থি না লাগে।
তারমানে আপনার ফুসফুসে কোন ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি অর্থাৎ আপনি এখনো করোনা থেকে ঝুকিমুক্ত আছেন।
Coronavirus Update
Coronavirus Update


জাপানের ডাক্টাররা আরেকটি উপদেশ দিয়াছেন,
আপনাদের গলা ও মুখের ভিতরটা যেন কখনো শুকিয়ে না যায়,অর্থাৎ সবসময় যেন ভেজা থাকে।
তাই প্রতি ১৫মিনিট পরপর পানি পান করুন।
কারণ ভাইরাসটি কোন ভাবে মুখ দিয়া প্রবেশ করলে,সেটি ফুসফুসে অবস্থান করার আগেই পানির সঙ্গে পাকেস্থলিতে চলে যাবে এবং পাকেস্থলির অ্যাসিড মুহুর্তেই সেই ভাইরাসটিকে মেরে ফেলবে।

করোনাভাইরাস বা এই ধরনের সংক্রমণে ‘হাই রিস্ক’ কারা? এককথায় বয়স্ক মানুষজন, যাদের বিপদের আশঙ্কা বেশি। কমবয়সী টগবগে ছেলেমেয়েদের বা সুস্থসবল মাঝবয়সীদের যেমন সংক্রমণের আশঙ্কা কম বা সংক্রমণ হলেও বিপদের আশঙ্কা তেমন নেই, এদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সে রকম নয়।

একটু এদিক থেকে সেদিক হলে তারা ঝট করে রোগে পড়ে যেতে পারেন, অবস্থা জটিল হতে পারে। এমনকি, মারা যাওয়াও অসম্ভব নয়।
সমস্যা সেটাই। সম্প্রতি ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ধূমপায়ী ও ডায়াবেটিস-হাইপ্রেশারে আক্রান্ত ৬৯-এর চেয়ে বেশি বয়সী পুরুষরাই নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মারা যান। চীনের উহানে ১৯১ জন কোভিড ১৯-এর রোগীর উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে যে ৫৪ জন মারা গিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগেরই ডায়াবেটিস ও হাইপ্রেশার ছিল এবং বয়স ছিল ৭০-এর বেশি। কাজেই হাই রিস্ক মানুষদের বিশেষভাবে সাবধান হয়ে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করা দরকার।

তবে সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক, কাদের ‘হাই রিস্ক’ বলা হয়। হাই রিস্ক মানুষ কারা-

• ৬৫-র বেশি বয়স। এরপর বয়স যত বাড়বে, বিপদের আশঙ্কা তত বেশি।

• দীর্ঘদিন ধরে কোনো ক্রনিক রোগ শরীরে বাসা বেঁধে থাকলে সমস্যা বেশি। যেমন হাইপ্রেশার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ফুসফুসের সমস্যা বা কিডনির জটিল রোগ।

• খুব বেশি ধূমপান করেন।

• বিভিন্ন কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। যেমন,

• ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে।

• রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, লুপাস, মাল্টিপল স্কেলরোসিস বা ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ তথা আলসারেটিস কোলাইটিস বা ক্রোনস ডিজিজ আছে।

• এইচআইভি পজিটিভ।

• কিডনি বা শরীরের অন্য কোনও প্রত্যঙ্গ কিংবা বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে।

তাহলে কী করবেন এরা

সঠিক নিয়ম মেনে চললে, তবেই বিপদের আশঙ্কা কমবে

যে যে নিয়ম মেনে চলতে হবে

• ধূমপান ছাড়ুন সবার আগে। কারণ সারা শরীর তথা শ্বাসযন্ত্র, ফুসফুস ইত্যাদির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে এর অবদান বিরাট। আর এই ভাইরাস যেহেতু শ্বাসতন্ত্রকেই আক্রমণ করে, ধূমপান চালিয়ে গেলে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। বাড়ে জটিলতার আশঙ্কা। আর এ বিপদ শুধু আপনার একার নয়। আপনার আশেপাশে যারা আছেন, তাদেরও।

• সাধারণ সাবধানতাগুলো মেনে চলুন অক্ষরে অক্ষরে। যেমন, ঘন ঘন হাত ধোওয়া, ঘরদোর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা, যে কোনো ধরনের জমায়েত এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

• যা যা ওষুধ নিয়মিত খান, সে সব একটু বেশি করে এনে রাখুন। হঠাৎ শরীর খারাপ হলে, বেরনোর মতো পরিস্থিতি যদি না থাকে, কাজে লাগবে।

• চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন, আপনার যে রোগ আছে, তার বাড়াবাড়ি হলে কী ওষুধ খেতে হবে ও কী কী নিয়ম মানতে হবে।

• নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ যদি হয়েই যায়, কী কী করতে হবে তা চিকিৎসক ও আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে প্ল্যান করে নিন। চিন্তা করবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা মেনে ঘরে থাকলেই সমস্যা কমে যায়।

• ঘরে থাকতে গেলে খাবারের ব্যবস্থা কী হবে তা ঠিক করে রাখুন। নিজেরা রান্না করে খাবেন না হোম ডেলিভারি অর্ডার করবেন। সপ্তাহ দু’য়েকের মতো বাজারহাট যেন করা থাকে।

• রোগের উপসর্গ সম্বন্ধে সচেতন থাকুন। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হলে চিকিৎসককে জানান। তিনি যেভাবে চলতে বলবেন, সেভাবে চলুন।

• রোগের বাড়াবাড়ি, অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ ধরা বা ব্যথা, আচ্ছন্ন হয়ে পড়া, ভুল বকা, ঠোঁট ও মুখ নীলচে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি হলে কোন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে তা আগে থেকে জেনে রাখুন।

• চিকিৎসক যদি বাইরের সঙ্গে সবসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুরোপুরি ঘরে থাকতে বলেন, তা-ই করুন। সূত্র: আনন্দবাজার।

করোনা সন্দেহ হলে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বাসায় বসে চিকিৎসা নিন। জ্বর, ঠান্ডা,কাশির রোগীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকুন। হাসপাতালে বা চেম্বারে ভীড় করে অন্যদেরকে ঝুঁকির মুখে ফেলার কোন প্রয়োজন নেই।

চিকিৎসা

>Tab. Napa Extend (665mg) or. ACE

১+১+১-ভরা পেটে,জ্বর,ব্যাথা থাকে,প্রয়োজন মতো…

>Tab. Fenadin (120mg),

০+০+১=৭ দিন

> Tab. Dexlan (30mg)

১+০+১ খাবারের ৩০ মিনিট পূর্বে

> Tab. Ceevit/Vasco (250mg)

১+০+১….–২ সপ্তাহ

> Antazol Nasal drop

১ ফোটা,২ নাকের ছিদ্রে,দিনে ৩ বার

> or saline

উপদেশ:

ঘরে অবস্থান করুন

প্রচুর পানি পান করুন

সবুজ ফলমূল খান

মাস্ক ব্যবহার করুন

হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন

পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

ঘরে বসেই ফ্রেশ জুস পান করুন

এসবে এমনিতেই সেরে যাবে করোনা। রোগ যাতে অন্যত্র না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখুন, নিজেই ভালো থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন।

আরো জানতে নিচের ভিডিওটা দেখুন



এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন
Join

No comments:

Post a Comment

close