Breaking

Thursday, October 29, 2020

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা ২/১ মাসের মধ্যে। National University News

 

মাঝপথে থেমে যাওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর স্নাতকের (সম্মান) অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো এক-দুই মাসের মধ্যে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ জন্য তিনি পরীক্ষার্থীদের এখন থেকেই পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এই পরিকল্পনার কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে যারা আছেন, ধরে নেওয়া হয় এই পরীক্ষার পর তাঁরা কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন। এখানে পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করা বোধ হয় সঠিক হবে না। পরিস্থিতি এখনো যা তাতে মনে হচ্ছে, এঁদের পরীক্ষা নেওয়া যাবে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এখানে যেহেতু সংখ্যাটি অত বড় নয় এবং কারিগরিতেও বিভিন্ন পর্যায়ে যাঁরা আছেন তাদের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। আলাপ আলোচনা করা হচ্ছে।
দীপু মনি বলেন, ‘আশা করছি তাদের পরীক্ষাগুলো ধীরে ধীরে নিয়ে নিতে পারব। একটু সময় হয়তো লাগবে। কিন্তু অনুরোধ করব, এখন থেকেই তাঁরা যেন পরীক্ষার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এক মাস বা দুই মাস পরে যখন পরীক্ষা হবে, তখন যেন আবার না বলেন প্রস্তুতি নিতে পারিনি।

 

National University News
National University News

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীন স্নাতকের (সম্মান) চূড়ান্ত পর্বের দুই লাখ ২৬ হাজার পরীক্ষার্থী। মোট ৩১টি বিষয়ে স্নাতকের (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১৭ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে। চূড়ান্ত পর্বে মোট আটটি তত্ত্বীয় পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে মোটাদাগে পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা করোনা বন্ধের আগেই শেষ হয়েছিল। বাকি পরীক্ষাগুলো এখন কবে নেওয়া যাবে, সেটি অনিশ্চিত।
মাঝপথে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় চাকরি পাওয়ার চেষ্টায় পিছিয়ে পড়ছেন এই শিক্ষার্থীরা। একে তো পিছিয়ে পড়ছেন, অন্যদিকে সেশনজটে পড়ে বয়সও বাড়ছে। ফলে যত দিন গড়াচ্ছে চাকরি পাওয়ার চেষ্টার সময়ও তাঁদের কমে আসছে। এ জন্য এসব পরীক্ষার্থীর চাওয়া, ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত পাঁচটি পরীক্ষার ভিত্তিতে ফল দেওয়া কিংবা অন্য কোনো উপায়ে হলেও চাকরির যেসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হচ্ছে, সেগুলোতে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো নেওয়ার কথাই বললেন।

সুত্রঃ প্রথম আলো



এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন
Join

No comments:

Post a Comment

close