অক্ষির অগোচরে—পরোক্ষ।
অক্ষির সম্মুখে—প্রত্যক্ষ।
অগ্রে গমন করে যে—অগ্রগামী।
অতি দীর্ঘ নয়—নাতিদীর্ঘ।
অতি শীতলও নয় অতি উষ্ণও নয়—নাতিশীতোষ্ণ।
অগ্রে জন্মগ্রহণ করেছে যে—অগ্রজ।
অনেক কষ্টে ভিক্ষা পাওয়া যায় যখন—দুর্ভিক্ষ।
অনেকের মধ্যে একজন—অন্যতম।
অনুসন্ধান করার ইচ্ছা— অনুসন্ধিৎসা।
পশ্চাতে গমন করে যে—অনুগামী।
অবশ্যই যা ঘটবে—অবশ্যম্ভাবী।
অভিজ্ঞতার অভাব যার— অনভিজ্ঞ।
অহংকার করে যে—অহংকারী।
অহংকার নেই এমন—নিরহংকার।
অল্প ব্যয় করে যে—মিতব্যয়ী।
আকাশ পথে যে যান ব্যবহার করা যায়—নভোযান।
আচারে নিষ্ঠা আছে যার— আচারনিষ্ঠ।
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত—আদ্যন্ত।
আপনার বর্ণ লুকায় যে— বর্ণচোরা।
আমিষের অভাব—নিরামিষ।
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার— আস্তিক।
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার— নাস্তিক।
আকাশে ওড়ে যে—খেচর।
ইতিহাস জানেন যিনি— ইতিহাসবেত্তা।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে—জিতেন্দ্রিয়।
ক্ষণকালের জন্য স্থায়ী—ক্ষণস্থায়ী।
উপায় নেই যার—নিরুপায়।
উপকার করেন যিনি—উপকারক।
উপকারীর উপকার স্বীকার করা— কৃতজ্ঞতা
কল্পনা করা যায় না এমন— অকল্পনীয়।
খাওয়ার ইচ্ছা—ক্ষুধা।
গরুর ডাক—হাম্বা।
চোখে যার লজ্জা নেই— চশমখোর।
জন্ম থেকে আরম্ভ করে—আজন্ম।
জানা আছে যা—জ্ঞাত।
জানা নেই যা—অজ্ঞাত।
জলে ও স্থলে চরে যে—উভচর।
জায়া ও পতি—দম্পতি।
জীবন পর্যন্ত—আজীবন।
একই গুরুর শিষ্য—সতীর্থ।
একই বিষয়ে যার চিত্ত নিবিষ্ট— একাগ্রচিত্ত।
একই সময়ে—যুগপৎ।
একই সময়ে বর্তমান— সমসাময়িক।
একই মাতার উদরে জন্ম যাদের— সহোদর।
কোনো ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না—অনিবার্য।
কণ্ঠ পর্যন্ত—আকণ্ঠ।
কম কথা বলে যে—মিতভাষী।
যার কোনো কিছুতে ভয় নেই—অকুতোভয়।
যার অন্য উপায় নেই—অনন্যোপায়।
যার কাজ করার শক্তি আছে—সক্ষম।
যার আকার নেই—নিরাকার।
যার পীড়া হয়েছে—পীড়িত।
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে—প্রত্যুৎপন্নমতি।
যিনি অধিক ব্যয় করেন না—মিতব্যয়ী।
যিনি শিক্ষা দান করেন—শিক্ষক।
যিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন—বিশেষজ্ঞ।
শুভক্ষণে জন্ম যার—ক্ষণজন্মা।
শত্রুকে দমন করে যে—অরিন্দম।
শৈশবকাল অবধি—আশৈশব।
শুকনো পাতার শব্দ—মর্মর।
সকলের জন্য প্রযোজ্য—সর্বজনীন।
সমুদ্র পর্যন্ত—আসমুদ্র।
সমস্ত পৃথিবীর লোকের বন্দনাযোগ্য —বিশ্ববন্দিত, বিশ্ববন্দ্য।
সারা দুনিয়ায় খ্যাত—জগদ্বিখ্যাত।
সাধনা করেন যিনি—সাধক।
সিংহের ডাক—হুংকার।
সোনার মতো দেখতে—সোনালি।
হনন করার ইচ্ছা—জিঘাংসা।
হরিণের চামড়া—অজিন।
হিত কামনা করে যে—হিতৈষী।
হঠাৎ রাগ করে যে—রগচটা।
হাতির ডাক—বৃংহণ/বৃংহিত।
কষ্টে গমন করা যায় যেখানে—দুর্গম।
কোথাও উঁচু কোথাও নিচু—বন্ধুর।
কী করতে হবে তা বুঝতে না পারা কিংকর্তব্যবিমূঢ়
কূলের সমীপে—উপকূল।
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী—কর্মঠ।
কল্পনা করা যায় না এমন—অকল্পনীয়।
কোকিলের স্বর—কুহু।
খাবার যোগ্য—খাদ্য।
খ্যাতি আছে যার—খ্যাতিমান।
ঘোড়ার ডাক—হ্রেষা।
চিরদিন মনে রাখার যোগ্য—চিরস্মরণীয়।
জানার ইচ্ছা—জিজ্ঞাসা।
জয়ের জন্য যে উৎসব—জয়োৎসব।
ডালের আগা—মগডাল।
তুলনা হয় না এমন—অতুলনীয়।
তিন রাস্তার মোড়—তেমাথা।
তাল ঠিক নেই যার—বেতাল।
ত্রি (তিন) ফলের সমাহার—ত্রিফলা।
দমন করা যায় না এমন—অদম্য।
দিনের মধ্যভাগ—মধ্যাহ্ন।
দিনে যে একবার আহার করে—একাহারী।
দিবসের প্রথম ভাগ—পূর্বাহ্ন।
দিবসের শেষ ভাগ—অপরাহ্ন।
দূরে দেখে না যে—অদূরদর্শী।
নষ্ট হয় যা—নশ্বর।
নিশাকালে চরে বেড়ায় যে—নিশাচর।
নদীমাতা যার—নদীমাতৃক।
নূপুরের শব্দ—নিক্বণ।
নতুন কিছু তৈরি করা—উদ্ভাবন।
নিজের অধিকার—স্বাধিকার।
নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসের গাদা—আবর্জনা।
নিজের ইচ্ছায়—স্বেচ্ছায়।
পরের অধীন—পরাধীন।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত—আপাদমস্তক।
পান করার ইচ্ছা—পিপাসা।
প্রতিভা আছে যার—প্রতিভাবান।
পরিহার করা যায় না এমন—অপরিহার্য।
পান করার যোগ্য—পেয়।
প্রহরা দেয় যে—প্রহরী।
পাখির কলরব—কূজন।
পান করার ইচ্ছা—পিপাসা।
পা হতে মাথা পর্যন্ত—আপাদমস্তক।
পেছনে সরে যাওয়া—পশ্চাদপসরণ।
প্রাণ আছে যার—প্রাণী।
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়—ওষধি।
বাঘের ডাক—গর্জন।
বয়সে সবচেয়ে ছোট—কনিষ্ঠ।
বয়সে সবচেয়ে বড়—জ্যেষ্ঠ।
বেশি কথা বলে যে—বাচাল।
বরণ করার যোগ্য—বরণীয়।
বিচার নেই এমন—অবিচার্য।
ব্যাকরণ জানেন যিনি—বৈয়াকরণ।
বীরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ—বীরশ্রেষ্ঠ।
বেঁচে আছে এমন—জীবিত।
বিনা পয়সায়—মুফত/মাগনা।
বিভিন্ন জাতি সম্পর্কীয়—বহুজাতিক।
বড় গ্রহকে ঘিরে যে ছোট গ্রহ ঘোরে—উপগ্রহ।
ভয় নেই যার—নির্ভীক।
ভিক্ষার অভাব—দুর্ভিক্ষ।
ভাষা সম্পর্কে যিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন — ভাষাবিদ।
ভোজন করতে ইচ্ছুক—বুভুক্ষু।
ভাবা যায় না এমন—অভাবনীয়।
ভ্রমরের গান—গুঞ্জন।
মধুর ধ্বনি—মধুরা।
মরণ পর্যন্ত—আমরণ।
মৃতের মতো অবস্থা—মুমূর্ষু।
মেধা আছে যার—মেধাবী।
ময়ূরের ডাক—কেকা।
মায়ের মতো যে ভূমি—মাতৃভূমি।
মিষ্টি কথা বলে যে—মিষ্টভাষী।
যে গাছ অন্য গাছের ওপর জন্মে— পরগাছা।
যে নারীর পুত্রসন্তান হয়নি—অপুত্রক।
যে পরিণাম বোঝে না— অপরিণামদর্শী।
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না—বনস্পতি।
যে জামাই শ্বশুরবাড়ি থাকে— ঘরজামাই।
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি—অনূঢ়া।
যে পরে জন্মগ্রহণ করেছে—অনুজ।
যে জমিতে দুবার ফসল হয়—দো-ফসলা।
যে সংবাদ বহন করে—সাংবাদিক।
যে অত্যাচার করে—অত্যাচারী।
যে শব্দ বাধা পেয়ে ফিরে আসে— প্রতিধ্বনি।
যে অন্যের অধীন নয়—স্বাধীন।
যে নৌকা চালায়—মাঝি।
যেখানে লোকজন বাস করে— লোকালয়।
যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে —কৃতজ্ঞ।
যে হিংসা করে—হিংসক।
যে উপকারীর অপকার করে—কৃতঘ্ন।
যে বিদেশে থাকে—প্রবাসী।
যে আকাশে চরে—খেচর।
যা মর্ম স্পর্শ করে—মর্মস্পর্শী।
যা সহজে লাভ করা যায়—সুলভ।
যা সহজে লাভ করা যায়—সুলভ।
যা সহজে ভেঙে যায়—ভঙ্গুর।
যা বালকের মধ্যেই সুলভ—বালসুলভ।
যা লাফিয়ে চলে—প্লবগ।
যা বুকে হাঁটে—সরীসৃপ।
যা বলার যোগ্য নয়—অকথ্য।
যা চুষে খাওয়া যায়—চুষ্য।
যা জলে জন্মে—জলজ।
যা দেখা যাচ্ছে—দৃশ্যমান।
যা পূর্বে ছিল এখন নেই—ভূতপূর্ব।
যা একইভাবে চলে —গতানুগতিক।
যা বাক্যে প্রকাশ করা যায় না— অবর্ণনীয়।
যা কষ্ট করে জয় করা যায়— দুর্জয়।
যা হবেই/হইবে—ভাবী।
যা সহজে দমন করা যায় না— দুর্দমনীয়।
যা মাটি ভেদ করে ওঠে—উদ্ভিদ।
যা ফুরায় না—অফুরান।
যা জলে চরে—জলচর।
যা কষ্টে লাভ করা যায়—দুর্লভ।
যা পূর্বে ঘটেনি—অভূতপূর্ব।
যার তল স্পর্শ করা যায় না— অতলস্পর্শী।
যার বিশেষ খ্যাতি আছে—বিখ্যাত।
যার নাম কেউ জানে না— অজ্ঞাতনামা।
যার পত্নী গত হয়েছে—বিপত্মীক।
যার ভাতের অভাব—হাভাতে।
যার মমতা নেই—নির্মম।
যার তুলনা হয় না—অতুলনীয়।
যার সীমা নেই—অসীম।
যার তুলনা নেই—অতুলনীয়।
যার অন্ত নেই—অন্তহীন।
যার শত্রু জন্মায়নি—অজাতশত্রু।
গরু রাখার স্থান — গোয়াল।
ঢেউয়ের ধ্বনি — কল্লোল।
পুবের বাতাস — পুবালি।
গরু চরায় যে — রাখাল।
গাভির ডাক — হাম্বা।
বিশ্বের যে নবী — বিশ্বনবী।
বিদেশে থাকে যে — প্রবাসী।
পুতুল পূজা করে যে — পৌত্তলিক।
রুপার মতো — রুপালি।
মাটির তৈরি শিল্পকর্ম — মৃৎশিল্প।
আঠা যুক্ত আছে যাতে — আঠালো।
চালচলনের উৎকর্ষ — সভ্যতা।
পুরুষানুক্রমিক — ঐতিহ্য।
চিত্রকর্মের কাঠামো — নকশা।
জীবন পর্যন্ত — আজীবন।
জনশূন্য স্থান — নির্জন।
যে বৃক্ষের ফুল না হলেও ফল হয় — বনস্পতি।
মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গবিশেষ — মৌমাছি।
জ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যমান — সজ্ঞান।
আপনাকে ভুলে থাকে যে — আপনভোলা।
বিলম্বে নয় এমন — অবিলম্বে।
স্থির নয় এমন — অস্থির।
ফুল হতে জাত — ফুলেল।
আলাপ করতে তৎপর — আলাপী।
আলোচনার বিষয়বস্তু — আলোচ্য।
মুক্তি কামনা করে যে — মুক্তিকামী।
মৃত্তিকা দিয়ে নির্মিত — মৃন্ময়।
স্রোত আছে যার — স্রোতস্বতী।
প্রাচীন ইতিহাস — প্রত্নতাত্ত্বিক।
প্রাণিদেহ থেকে লব্ধ — প্রাণিজ।
রোগনাশক গাছগাছড়া — ভেষজ।
আলো ছড়ায় যে পাখি — আলোর পাখি।
শিক্ষা করছে যে — শিক্ষানবিশ।
বিচিত্রতায় পূর্ণ যা — বৈচিত্র্যপূর্ণ।
খাদ নেই যাতে — নিখাদ।
বনে বাস করে যে — বনবাসী।
যা বনে চরে — বনচর।
আকাশ ও পৃথিবী — ক্রন্দসী।
অন্বেষণ করার ইচ্ছা — অন্বেষা।
উদ্দাম নৃত্য — তাণ্ডব।
যা সহজেই ভেঙে যায় — ঠুনকো।
বিনা অপরাধে সংঘটিত হত্যা — গণহত্যা
No comments:
Post a Comment