Breaking

Monday, January 14, 2019

ব্রেকিং: অবশেষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে

তবে আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী ৩৫ বছর নয়, বয়স বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৩২ বছর। ইতিমধ্যে বয়সসীমা বাড়ানোর নথি নিয়ে কাজ শুরু করছে নতুন সরকার।

বিদায়ী সরকারের শেষ সময়ের উদ্যোগ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করার প্রস্তাবটি দ্রুতই নতুন মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মেয়াদের শেষ সময়ে এসে চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে। কিছুদিন আগে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। প্রস্তাবনার খসড়াটি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সায় দিলে শিগগিরই মন্ত্রিসভা বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই প্রজ্ঞাপন জারি করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি মিললেই মন্ত্রিসভা হয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিদায়ী সরকারের শেষ সময়ে গত আগস্ট মাসে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। সে সময় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। মন্ত্রিসভা গঠনের পর প্রতিমন্ত্রী এর সারসংক্ষেপ দেখেছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি যেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন, তাই এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চিন্তাভাবনা করেই এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুপরিকল্পনা ছাড়া তিনি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাই

কারণ প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, তিনি তা করেন- যোগ করেন সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বয়স বাড়ানোর বিষয়ে কোনো প্রস্তাব তৈরি করেছে কি না জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, মাত্রই তো এই মন্ত্রণালয়ে যোগ দিলাম।

এখন এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের সাধারণ গড় আয়ু বেড়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

তাছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাধারণ জনগণও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ানোর পক্ষে রয়েছেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন মহলও চাইছেন এই বিষয়ে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আসুক সরকার। তাই বলতে পারি সহসাই এ বিষয়ে একটি পজিটিভ সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
অবশেষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স বর্তমানে ৩০ বছর। আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, এ ব্যাপারে প্রস্তাব তৈরি করা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালের আগে দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর। ১৯৯১ সালের জুলাই মাসে সেটা বাড়িয়ে করা হয় ৩০ বছর। এরপর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সরকারি চাকরিতে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম সভায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়। এর আগে কমিটির ২১তম সভায় ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছিল।


এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন
Join

No comments:

Post a Comment

close