Breaking

Thursday, October 15, 2020

মাধ্যমিকে যেভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। Update News

 মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিকল্প মূল্যায়নের মাধ্যমে পরের ক্লাসে তুলে দেয়ার চিন্তা চলছে। পাঠ্যবইয়ের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেয়া হবে। বাড়িতে থেকে তারা সেই অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ ব্যবস্থায় সেটা সংগ্রহ ও মূল্যায়ন করবে। এর ভিত্তিতেই তাদের নতুন ক্লাসে তুলে দেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মাধ্যমিকের পরিকল্পনা নিয়ে এ সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রাথমিকের অটোপাসসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হবে আগামী মাসে।

ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে এ ধরনের ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিকল্প পরিকল্পনা অনুসরণ করা হবে। এতে প্রাথমিক স্তরের জন্য প্রণীত পরিকল্পনা অনুসরণ করতে বলা হবে শিক্ষকদের। আর মাধ্যমিক স্তরের পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ তা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছাবে। এরপর তা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকাশ করা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম গোলাম ফারুক এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ‘অটোপাস’ দিচ্ছি না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ নেই। মধ্য মার্চ পর্যন্ত শ্রেণিকাজ, টেলিভিশন ও অনলাইনে পাঠদানসহ অন্যান্য দিক বিবেচনায় নিয়ে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। মূল্যায়নের মাধ্যমেই নতুন শ্রেণিতে পদোন্নতি দেয়া হবে।

Update News
Update News



গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। মাঝে কয়েক দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। মার্চের শেষে মাধ্যমিকে এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিক স্তরে টেলিভিশন পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫ শতাংশের কাছে সংসদ টেলিভিশনের পাঠদান পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। আর মাউশির হিসাবে প্রায় ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী এসেছে এই পাঠদানের আওতায়।

অন্যদিকে মাধ্যমিকে মূল্যায়নের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) পরিকল্পনা তৈরি করছে। দুই নীতি সামনে রাখা হচ্ছে। একটি হচ্ছে বছরের অবশিষ্ট সময় বিবেচনায় নিয়ে যতটুকু বিষয়ের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট বা বাড়ির কাজ দেয়া যায় সেটা রাখা হবে।

অপরটি হচ্ছে, যা বাকি থাকবে এবং পরের বছরের জন্য অপরিহার্য। সেটা পরের ক্লাসে নেয়া হবে। আগামী বছর পাঠদানের আগে শিক্ষক সেটি পড়িয়ে নেবেন। এই পরিকল্পনা আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রণয়ন শেষে স্কুল শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হবে।

এতেই এ বছরের জন্য নির্ধারিত অংশ অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়ের নির্দেশনা থাকছে। এরপর অ্যাসাইনমেন্টে নম্বর দিয়ে শিক্ষার্থী মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন ক্লাসে তার রোল নম্বরও নির্ধারণ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে চলতি বছরের পিইসি, ইইসি, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে ফল দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

সূত্র: যুগান্তর


এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন
Join

No comments:

Post a Comment

close